Advertisement

এডিস মশা ও ডেঙ্গুজ্বর কী ?

 

এডিস মশা ও ডেঙ্গুজ্বর এর চিত্র


## ডেঙ্গুজ্বর ও এডিস মশা নাগরিক জীবনে এক অস্বাভাবিক ভীতির সৃষ্টি করেছে৷ কয়েক প্রজাতির 'এডিস' নামক মশা  দ্বারা বাহিত ডেঙ্গু  ভাইরাস সংক্রমণের ফলে দুরারোগ্য জ্বরই হচ্ছে ডেঙ্গুজর৷


এডিস মশার দংশণের ফলে মানবদেহে ডেঙ্গুর ভাইরাস সংক্রামিত হয় এবং দংশিত  মানুষ  ডেঙ্গুজ্বরের শিকার হয়৷ বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব ঘটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়৷  ডক্টর অ্যালবার্ট মার্টিন ১৯৪৪ সালে সর্বপ্রথম ডেঙ্গু ভাইরাস আবিষ্কার করেন৷


বাংলাদেশে ডেঙ্গুজ্বর প্রথম শনাক্ত  হয় ১৯৬৪ সালে৷ থাইল্যান্ডের একদল বিশেষজ্ঞ তখনকার দিনে 'ঢাকাইয়া জ্বর ' নামে পরিচিত জ্বরকেই ডেঙ্গুজ্বর বলে চিহ্নিত করেন৷ দীর্ঘদিন পর এদেশে  আবার ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ দেখা দেয় ২০০০ সালে৷ ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রামিত হলে রোগীর জ্বর সর্বোচ্চ ১০৭ ডিগ্রি  ফারেনহাইট  পর্যন্ত উঠতে পারে৷


রোগের উপসর্গসমূহের মধ্যে  রয়েছে - খাদ্যে অরুচি,বমি বমি ভাব,শরীরে তীব্র ব্যথা এবং চামড়ার নিচে ও চোখের সাদা অংশে রক্ত জমাট বাঁধা৷


##মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস, বিশেষ করে গরম ও বর্ষার সময় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। এ বছর প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ডেঙ্গু জ্বর বেশি হচ্ছে। শীতকালে সাধারণত এই জ্বর হয় না বললেই চলে। শীতে লার্ভা অবস্থায় এই মশা অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারে। বর্ষার শুরুতে সেগুলো থেকে নতুন করে ডেঙ্গু ভাইরাসবাহিত মশা বিস্তার লাভ করে।

ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাসের মাধ্যমে এবং এই ভাইরাসবাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে হয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। এবার এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটি ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে। এই জ্বর এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে এটি শরীরে জটিলতা সৃষ্টি করে। তবে জ্বরে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।



##ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

 👉জ্বর হওয়া

👉অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা

👉চোখের চারপাশে ব্যাথা

👉পেসিতে ও হাড়ের গিটে ব্যাথা

👉বমি ও বমি বমি ভাব

👉ত্বকে লাল ছোপ ছোপ দাগ

👉নাক থেকে রক্তপাত

👉ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম ১০ দিনের মধ্যে এই লক্ষণগুলি দেখা যায় এবং কিছু ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগে শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে ।


##ডেঙ্গুর জন্য চিকিৎসা

👉বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ

👉চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখা দরকার

👉ডাক্তারের দেওয়া টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিৎ

👉নিজে থেকে ঔষুধ খাওয়া উচিৎ নয়

👉অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষুধ খাওয়া উচিৎ নয় এগুলি রক্তকে পাতলা করে দেয়

👉ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চললে কয়েক দিনেই ডেঙ্গু পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়।।