Advertisement

সমাজে নারীর মর্যাদা





                    সমাজে নারীর মর্যাদা


সমাজে নারীর মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ইসলামের নানা দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাক ইসলামী যুগে নবীর যখন কোন আত্মমর্যাদা কিংবা কোন সম্মান ছিল না। যখন কন্যা সন্তান হলে তাকে জীবন্ত পুঁতে রাখা হতো। এবং পুরুষেরা নারীকে শুধু ভোগের জন্য ব্যবহার করতো,তখন মহানবী সাঃ পুরুষ ও নারীদের সমমর্যাদার কথা জানিয়ে দিলেন।

 ''পুরুষ অথবা নারীর মধ্যে কেউ সৎ কাজ করলেও মুমিন হলে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, এবং তাদের পুতি অনু পরিমাণ ও জুলুম করা হবে না। '(সূরা নিসাঃ১২৪) ইসলাম পরিবার,,, সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীকে পুরুষের সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী করেছে। নারীকে অত্যন্ত সম্মানজনক মর্যাদা দিয়েছে। নবী (সাঃ)নারীদের শিক্ষা গ্রহণের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখতেন নবী(সাঃ)বলেছেন, "প্রত্যেক নর নারীর জন্য জ্ঞানার্জন করা ফরজ। " (ইবনে মাজাহ)  বিবাহ, ইসলামে নারীদের অবশিক শিক্ষা।

ধর্মচিন্তা কর্মের স্বাধীনতাসহ পাত্র নির্বাচন  সম্পত্তির অধিকার দিয়েছে। বিবাহের সময় অবিবাহিতা তালিকা প্রাপ্ত ও বিধবাদের মতপ্রকাশের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে। নারীরা যেন নৈতিক চরিত্র সমুন্নত রাখতে এবং সৎ যোগ্য পাত্র কে নির্বাচন করে রাখতে পারে। সমাজে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়োজিত নারীর অবস্থান নির্বাচিত করে রাসুল সাঃ নারীর অধিকার সমুন্নত করে গেছেন। পিতা-মাতা ও স্বামীর সম্পত্তিতে রয়েছে নারীদের সমান সম্মানজনক অধিকার। স্বামীর উপর নারীর বিশেষ অধিকার এই যে, স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে বাসস্থান এবং মোহরানা দিতে হবে। 

  নারী শিক্ষা ব্যবস্থা ঃবর্তমানে সমাজ ব্যবস্থা সহ আমাদের দেশের নারীদের শিক্ষা ব্যবস্থার আইন চালু হয়েছে। রাসুল সাঃ নারীশিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। কেননা তিনি মনে করতেন, নারীকে শিক্ষাবঞ্চিত রেখে সমাজে অগ্রগতি সম্ভব নয়। একটি আদর্শ সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন একদল  আদর্শ যুবক তৈরি করা, কিন্তু আদর্শ যুবক তৈরি করতে হলে দরকার একদল আদর্শ শিশু তৈরি করা।আর একদল আদর্শ শিশু তৈরি করতে হলে আগে তৈরি করতে হবে একদল ইসলামী শিক্ষা সম্পন্ন আদর্শ মা। একজন শিক্ষিত ও আদর্শবতী মা য়ে পারে একটি শিক্ষিত ও আদর্শ সমাজ উপহার দিতে। তাই সমাজে নারীদের শিক্ষার কোন বিকল্প নেই'।    নারীর অধিকার,

নারীর অধিকার  আমাদের দেশে  নারীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে  অনেক আন্দোলনের স্লোগান তৈরি করা হয়েছে।যেমন ১৯৯৪কাবিন ছাড়া বিয়ে নাই,বিয়ে হলেই কাবিন চাই। ১৯৯৮ সালের স্লোগান হলো নারী নির্যাতন বন্ধ করুন। সুখী সমাজ গড়ে তুলুন। দেশের নাগরিক হয়েও আজ তারা স্বাধীনতা হীন।রাস্তার ঠিকমতন চলাচলেও স্বাধীনতা নেই সমাজের মেয়েদের। বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সময় অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয় মেয়েদের। আবার কখনো রাস্তায় বখাটে ছেলেদের ধর্ষণের শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে হয়।

 গ্রামের একটি মেয়ে ভালো কাজ করলে যেন অনেকের কাছে দুর্নামের পাত্রী হয়ে উঠতে হয়।অনেক সময় কিশোরী ধাপে পা দেওয়া একটি মেয়েকে বসানো হয় বিয়ের পিঁড়িতে। যে ছোটবেলা থেকে বড় হতে থাকে অনেক স্বপ্ন নিয়ে।বাল্যবিবাহের কারণে তার সব স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষাগুলো ভেঙ্গে যায়।নারীরা আর যতই অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক না কেন, নারীদের অবদান অসামান্য। কিছু নারী অধিকার থেকে বঞ্চিত হলেও তাদের চেষ্টা-সাধনা আর আত্মবিশ্বাসের জোরে পৌঁছে গেছেন সফলতার চূড়ায়।

 ইসলামে নারীর মর্যাদা ;সত্যিকার অর্থে ইসলাম নারীকে ক্ষমতা দিয়েছে এবং সম্মানিত করেছেন। ইসলামই নারীকে করুন অমানবিক অবস্থা থেকে উদ্ধার করে তাদেরকে মানুষ হিসেবে যথাযোগ্য অধিকার এবং সম্মানজনক মর্যাদা দিয়েছে। ইসলাম-পূর্ব আরব সমাজে নারীদের অবস্থান এমনই ছিল। এমনকি ইসলাম ধর্ম ছাড়া অন্য সকল ধর্মে আজ পর্যন্ত নারী অধিকারের কোন স্বীকৃতি দেয়া  হয়নি।।