Advertisement

করোনাকালে বিবাহবিচ্ছেদ

   


  

                                                                 "করোনাকালে বিবাহবিচ্ছেদ,,   


করোনা পৃথিবীর  অসংখ্য  মানুষের প্রান কেড়ে নিচ্ছে৷  আমরা যারা বেঁচে আছি তাদের বেঁচে থাকাই দিন দিন কস্ঠসাধ্য হয়ে পড়েছে৷ একে তো আমাদের দেশের সাধারন মানুষের  কঠোর স্বস্থবিধি মেনে চলাক৷ কঠিন অন্যদিকে করোনার কারনে আর্থিক সল্ক চাকরি হারানোসহ নানা কারনে সামাজিক অস্থিরতা সূস্ঠি হয়েছে৷ কর্ম হারিয়ে বা দীর্ঘ সময় একসঙ্গে  থাকার  অপ্রত্যাশিতভাবে বাধ্যবাধকতা তৈরি হওয়ার  ফলে স্মামী- স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য সূস্ঠি হচ্ছে৷  এভাবে থকার কারণে কিছু  ক্ষেএে পারিবারি বন্ধনে ইতিবাচক  প্রভাব রাখলেও অনেক ক্ষেএে  স্মামী - স্ত্রীরা অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছেন৷ এতে  নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে৷ এসব চাপও দুশ্চিন্তার কারণে অনেকেই বেছে নিয়েছেন বিচ্ছেদের পথ ৷  করোনার এই সময়ের ঢাকায়  তালাক বা বিবাহবিচ্ছেদ বেড়ে গেছে৷ এবছরের জুন থেকে  অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ মাসে ঢাকায় বিবাহবিচ্ছেদ আগের বছরের একেই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ  বেড়েছে৷ এই সময়ের দৈনিক ৩৯ টি তালাকের ঘটনা  ঘটেছে৷ বিবাহবিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ার  পেছনে করোনার কারণে তৈরী হওয়া  মানসিক আর্থিকসহ নানামুখী চাপের পাশাপাশি সমাজিক  যোগাযোগ মাধ্যমের অতিরিক্ত অপব্যবাহারকে অন্যতম কারণ বলে মনে করেছেন সমাজবিজ্ঞানীরা৷ করোনার মতো এমন দুর্যোগপূর্ণ অভিজ্ঞতা  নিকট অতীতে মানুষের  ছিল না৷ করোনার কারণে  অর্থনৈতিক সমাজিক ও পারিবারিকভাবে এক ধরনের চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে প্রায় সবাইকে৷ করোনার সাধারণ ছুটির  সময় (এপ্রিল মাস) বেসরকারী  সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের চালানো এক জরিপে দেখা যায় করোনার এই সময়ে নারীর ওপর নির্যাতনের মাএা বেড়েছে ৷ ফলে প্রতিদিন গড়ে ১৫ টি বিচ্ছেদ  ঘটেছে শুধু রাজধানীতে৷ বিচ্ছেদ  কার্যকর হওয়া অধিকাংশের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছরের  মধ্যে৷ গড় হিসাব অনুযায়ী  ঢাকায়  জুলাই  (২০২০) মাসে প্রতিদিন প্রায় ৫১ টি ডিভোর্সের ঘটনা ঘটেছে৷ এরা উচ্চ নিম্নবিওি পরিবারের সদস্য৷ মানুষের  মানসিকতার পরিবর্তন বিওবৈষম্য কুসংস্কার  অজ্ঞানতা ও অশিক্ষার কারণে বিবাহবিচ্ছেদ হয়৷৷৷