Advertisement

ব্রেকিং নিউজ হ্যান্ড স্যানিটাইজার কী আসুন এক নজরে জেনে নেই!!!

আসুন এক নজরে জেনে নেই!!! 🙋আমরা যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার করোনা কালে বা অন্যান্য সময় ব্যাবহার করি এর উৎপত্তি কোথায়,কি ভাবে এর আবিষ্কার করা হয়। এবং কে এর আবিষ্কারক করেন। তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানবো। সাধারণতসাধারণত হাতের জীবাণু ধ্বংস করতে ব্যাবহ্ণত হ্যান্ড স্যানিটাইজার একটি তরল বা জেল। যেখানে পানি নেই, সেখানে স্যানিটাজার বিকল্পহীন অ্যাকোহল ভিত্তিক এ স্যানিটাইজারে সাধারণত আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল, ইথানল (ইথাইল অ্যালকোহল) বা এন-প্রোপানলের কিছু সংমিশ্রণ থাকে। (১৯৬৬) সালে ক্যালিফোর্নিয়ার বের্কাফিন্ড শহরের বাসিন্দা লুপি হার্নান্দেজ নামক এক নার্সিংয়ের ছাত্রী হ্যান্ড স্যানিটাইজার আবিষ্কার করেন। লুপি প্রত্যক্ষ করেন যে অ্যালকোহল বা স্পিরিটের সঙ্গে জেল বা গ্লিসারিন ব্যাবহার করলে যে তরলের সৃষ্টি হয় তা দিয়ে অতি সহজেই। জীবাণু নাশ করা যায়। পাশাপাশি তা কাজ করে সাবানের মতোই। এখান থেকেই পথ চলা শুরু এ তরলটির। ক্রমে এর প্রচলন শুরু হয় মার্কিন সেনাবিভাগে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে জনসাধারণের মধে এর ব্যাবহার দ্রুত হারে বৃদ্ধি পায় ২০০৯ সালে HIHI মহামারির সময়। নতুন করোনাভাইরাসের প্রকোপে ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ চাহিদা বেড়েছে। ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া আর সেটা সম্ভব না হলে ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ ব্যবহারই এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের সবচাইতে কার্যকর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ অবশ্যই নুন্যতম ৬০ শতাংশ অ্যালকোহল থাকতে হবে। স্বাস্থ্যসেবায় সংশ্লিষ্ট সবাই ঘন ঘন এই রাসায়নিক দ্রবণ ব্যবহার করতে বলছেন। সাবান দিয়ে হাত দিয়ে হাত ধোয়ার বিপরীতে ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ ব্যবহার সহজ। তবে যেহেতু এটি একটি রাসায়নিক দ্রবণ, তাই এর অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকও আছে। ধুলা ও ময়লা তাড়াতে কার্যকর নয়: হাতে দৃশ্যমান ময়লা, ধুলা, কালি ইত্যাদি পরিষ্কার করতে ‘হ্যান্ড স্যানিজার’ কোনো কাজে আসে না। সে পরিস্থিতিতে জীবাণু ধ্বংস করতেও রাসায়নিক দ্রবণটির কার্যক্ষমতা কমে যায়। ময়লার ঝুড়ি, ঘর পরিষ্কার, শিশুর ‘ডায়াপার’ পাল্টানো ইত্যাদির পরও ‘স্যানিটাইজার’ কোনো কাজে আসবে না। করোনার বদৌলতে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সেই নার্সিং ছাত্রীর কাছে নতজানু জীবাণুতটস্হ একুশ শতকের আধুনিক বিশ্ব।।