Advertisement

এক নজরে জেনে নিন কয় ধরনের নারীকে বিয়ে করলে জীবনে শান্তি আসবে না ।


চার ধরণের নারীদের বিয়ে করলে জীবনে অশান্তি পাওয়া যাবেনা।প্রিয়দর্শনী স্ত্রীর জন্য পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় হচ্ছে তার স্বামী,সহি হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে সেজদা দেওয়া যাবে না।

               যে তারা যেন তাদের স্বামীদের সেজদা করে

কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ছাড়া আর কাউকে যদি সেজদা দেওয়া যেত তাহলে আমি পৃথিবীর নারীদেরকে বলতাম যে তারা যেন তাদের স্বামীদের সেজদা করে।এখন প্রশ্ন হল এই রূপকথা আমাদের রাসুল সাঃ কেন বললেন কারণ হচ্ছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যত রকম খরচ আছে তার সবটুকু বহন করতে হয় স্বামীকে।

যদি আরেকটু পরিষ্কার করে বলি যেমন যদি শশুর বাড়ি থেকে কোনো মেহমান আসে অথবা নিজের বাড়ি থেকে মেহমান আসে সেই খরচটাও কিন্তু স্বামীর বহন করতে হয়।এছাড়া যদি স্ত্রী অসুস্থ হয় স্বামী অসুস্থ হয় শিশু সন্তানের ভরণপোষণ অর্থাৎ পরিবারের যে কোনো ধরনের ভরণপোষণ ই হোক।

তার সবটুকু পূরণ করার দায়িত্ব স্বামী থাকে এটা আল্লাহর তরফ থেকেই স্বামীর উপর অর্পণ করা হয়েছে।এ জন্য স্বামীর মর্যাদা ও আল্লাহ রব্বুল আলামীন স্ত্রী এবং স্বামীর মাঝে একটু বাড়িয়ে তাই স্ত্রীদের দায়িত্ব হচ্ছে কখনো স্বামীর সাথে বেয়াদবি না করা তাঁর অবাধ্য না হওয়া অন্যদিকে এমন কিছু স্বামীর রয়েছে যারা। 

বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে যেমন জুয়া খেলে মদ খায় ইত্যাদি এবং সেগুলোর জন্য স্ত্রীর উপর অমানবিক চাপ প্রয়োগ করে। সে সকল স্বামীদের বিষয়টি ব্যতিক্রম সে ক্ষেত্রে স্ত্রী যদি কোনভাবে ইনকাম করে তাহলে স্বামী কখনোই তার স্ত্রী থেকে টাকা নিতে পারবে না।

         যত খরচ আছে সবটাই কিন্তু স্বামীর কাছে

যদি স্ত্রী নিজের ইচ্ছায় না দেয় তবে স্ত্রী উপার্জিত অর্থের উপর স্বামীর কোনো হক নেই কিন্তু রাতদিন ২৪ ঘন্টা সংসারের যত খরচ আছে সবটাই কিন্তু স্বামীর কাছে এটা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের তরফ থেকে প্রদত্ত একটা গুরুদায়িত্ব এর জন্য স্বামীকে পরিশ্রম করতে হবে উপার্জন করতে হবে।

সৎ ভাবে ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি গবেষণা করে বলেছেন,প্রকারের নারীদের যদি বিয়ে করা হয় তাহলে তারা যেন দুনিয়াতে সুখ শান্তি পাওয়ার আশা ছেড়ে দেয় সে চার প্রকারের এক নম্বর হচ্ছে আহেরা দুই নম্বর হচ্ছে তিন নম্বর হরিহরনগর হচ্ছে বাড়িয়া আহেরা প্রকৃতির নারীরা হচ্ছে ইমাম গাজ্জালী বলেন।

এটি সে ধরণের নারীদের বুঝানো হয়েছে যারা সারাটা দিন রূপচর্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকে রূপচর্চা করা হারাম নয় নিষিদ্ধ কিছু নয় কিন্তু সারাদিন রূপচর্চা করা কোনোভাবেই কাম্য নয় ছেলেমেয়ে সংসারের প্রতি কোন মনোযোগ নেই এ ধরনের মহিলা। আমাদের দেশে অহরহ পাওয়া যায় ।

সাজসজ্জা মহিলাদের জন্য না জায়েজ নয় কিন্তু এই সাজসজ্জা করে রাস্তায় হেঁটে বেড়ানো তা কোনোভাবেই ইসলাম সমর্থন করে না ঢুকছে দিছে না দিছে হচ্ছে তারা যারা শুধুমাত্র রূপচর্চা করে না বরং নিজের রূপের অহংকার করে এ বিষয়ে একজন কবি বলেছেন।এই নারীরা নিজের রূপের বড়াই করো না কেন না তোমার থেকেও সুন্দর রমণী আজ কবরের মাটির সঙ্গে মিশে গেছে ।

                        কত সুন্দরী রমনী ছিল কিন্তু

তাদের কবরে গিয়ে দেখো একটি হাড়ের টুকরো তোমরা খুঁজে পাবে না যদি মিশে গিয়ে দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন। কত সুন্দরী রমণীর মমি আজ পড়ে রয়েছে এক সময় তারা কত সুন্দরী রমনী ছিল কিন্তু আজ তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে। না পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি হল তাজমহল কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে সে তাজমহলটি কিন্তু প্রকৃতপক্ষে একটি মজাদার কি হলো মমতাজের মাঝে কিন্তু আজকে গিয়ে দেখুন সে মমতাজের একটি হারু খুঁজে পাওয়া যাবে না।

এজন্য রূপের বড়াই যারা করে ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি বলেছেন তাদের বিয়ে করলে কখনোই শান্তি পাওয়া যাবে না তিন বছর তালিয়া তালিয়া এর বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ইমাম গাজ্জালী মনে মনে হচ্ছে সে সকল নারীরা যারা সবসময় স্বামীদের দৌঁড়ের উপর রাখেন অহরহ মহিলা আছেন।

 যারা ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর মতে মধ্যাহ্নে কারণ তারা সব সময় বলে থাকেন এই জীবনে তুমি আমার জন্য কি করেছ আমাকে কি দিতে পেরেছো আমাকে কতটুকু সুখে রেখেছে.আমি মেয়ে হয়েছে বিধায় তোমার সংসার করছি শুধুমাত্র লোকের কুৎসা রটনার ভয়ে মুখ বুঝে সহ্য করছি অন্য কেউ হলে অনেক আগেই চলে যেত ইত্যাদি।


দোয়া করি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সে সকল নারীদের হেদায়েত দান করুক কিন্তু পুরো পৃথিবীর তুলনায় আমাদের দেশের নারীরা ভালো আমাদের দেশের নারীরা স্বামীর খেদমত করে থাকে অন্যান্য দেশগুলোতে এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সর্বদমন কি এমন অনেক বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা রয়েছে।

            এসকল মহিলাদেরকে বিয়ে করলে

 যার মূল কারণ হচ্ছে স্বামীরা স্ত্রীদের আবদার পূরণ করতে পারছে না এসব কথা যারা বলে থাকেন ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাদেরকে মুস্তালিয়া বলেছেন এবং এসকল মহিলাদেরকে বিয়ে করলে জীবনে সুখ শান্তি আসবে না বলেছেন কারণ যে নারীর হাতে বরকত রয়েছে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া রয়েছে তাদেরকে আপনি যতোটুকু দিতে পারবেন তাতে তারা সন্তুষ্ট এবং ওই নারীদের জীবন অনেক সুন্দর ও সুখময় এছাড়া একজন আদর্শবান স্ত্রী হচ্ছে তারা শুকরিয়া আদায় করবে এবং সাম্প্রতিক বিশ্ব ।

মির্জা প্রয়োগ করবেন ৪ নম্বর হচ্ছে বাড়িয়া বাড়িয়া হল তারা যারা স্বামীর সামনে সামনে নিজেকে খুব ভালো দেখায় কিন্তু স্বামীর ঘর থেকে বের হয়ে গেলে তাদের রূপ পরিবর্তন হয়ে যায়। আমাদের সমাজে অহরহ মহিলা রয়েছে যারা ঘরে স্বামী থাকাকালীন খুব ভদ্র সেজে থাকে কিন্তু স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে দেবরের সঙ্গে ঠাট্টা করে মহল্লায় মহল্লায় ঘুরে বেড়ায় হাসি-ঠাট্টা করে।

 অর্থাৎ স্বামীর অপছন্দের এমন অনেক কাজ হরহামেশাই করে থাকে আবার কিছু স্বামী এমন আছে যারা বিদেশ থেকে বন্ধুর মাধ্যমে স্ত্রীর জন্য টাকা গয়না পাঠায় আবার স্ত্রীকে কড়া ভাষায় বলে দেয় বন্ধু আসবে তাকে যেন ভালোভাবে আপ্যায়ন করা হয় এখন প্রশ্ন হচ্ছে বন্ধু তার ভাবীর বাসায় যাবে।

এটা কি হালাল নাকি হারাম অবশ্যই হারাম অনেক প্রবাসী স্বামী এমনটি করার কারণ হচ্ছে তারা বাবা-মাকে কিছু না জানিয়ে গোপনে স্ত্রীর কাছে গহনা বা টাকা পৌঁছে দিতে চাই এক্ষেত্রে স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়া কোনো গুনাহ নেই কিন্তু কোন কিছু দিতে গিয়ে স্ত্রীকে ব্যবস্থা করে দেওয়া গুনা হবে।

                    বন্ধুরা বিভিন্ন মন্তব্য করে

অনেক স্বামী নতুন বিয়ে করার পরে বন্ধু-বান্ধবদের সবাইকে ঘরে নিয়ে আসেন তার সুন্দরী স্ত্রীকে দেখানোর জন্য এটা একটা ক্রেডিট মনে করেন তারপর বন্ধুরা বিভিন্ন মন্তব্য করে থাকে অপর বন্ধুর স্ত্রীকে নিয়ে সকল স্বামীদের উপড়ানো চারার স্বইচ্ছায় নিজের সুন্দরী স্ত্রীকে বন্ধুদের সামনে প্রদর্শন করে বেড়ায়।

সুতরাং আমরা বুঝতে পারছি কিছু সংখ্যক গোস্বামীর কারণেই তার স্ত্রী বিপথগামী হয়ে যায় আবার কিছু সংখ্যক ইস্ত্রি রয়েছে যারা স্বামীর সামনে ভালো থাকলেও অন্তর কিন্তু পরিশুদ্ধ নয় অন্তরে যথেষ্ট কলুষতা রয়েছে যার স্বামীর অবর্তমানে প্রকাশ পায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে ইসলামের বিধি নিষেধ কে মেনে চলা এবং তার উপর আমল করার তৌফিক দান করুক আমিন।